have a look at our

B l o g s

Read More & Learn More About Physiotherapy Treatment

আমাদের শরীরে মাংসপেশি ও জয়েন্টের ব্যথায় ফিজিওথেরাপিস্টগণ গেলো কয়েকবছর যাবৎ দারণ চিকিৎসা দিয়ে আসছে। তবে, এসব ম্যাকানিক্যাল অর্থাৎ কাঠামোগত সমস্যা ছাড়াও আমাদের রোগীদের ব্যথা হতে পারে মূলতঃ চারটি কারনে। আসুন জেনে নিই সেগুলো-

১। ভিটামিন ডি এর অভাবেঃ আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের একটি ভ্রান্ত ধারণা হলো আমাদের শরীর ব্যথার কারন ক্যালসিয়ামের ঘাটতি। এটি সম্পূর্ণ ভুল একটি ধারণা। মূলতঃ আজকাল শহুরে জীবন ও দালানকোঠায় বসবাস করার ফলে আমাদের হাড়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ভিটামিন ডি এর অভাব হয় যার কারন সূর্যালোকের সংস্পর্শে না আসা/ কম আসা। সম্প্রতি এক দেশি গবেষণায় ঢাকার শতকরা ৮২% নারীর দেহে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা দিচ্ছে। ফলে আজকাল নারীদের ক্ষেত্রে মূলতঃ রজঃনিবৃত্তি (মেনোপজ) এর পর সামান্য আঘাতে/ পড়ে গিয়ে ফ্র্যাকচার ঘটছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি কিছুটা কম হলেও নেহাত কম নয়। আমাদের ভিটামিন ডি এর মূল উৎস সূর্যালোক। এছাড়াও দুধ, ডিম, সামুদ্রিক মাছ ও কমলালেবুতে ভিটামিন ডি রয়েছে।

২। ইউরিক এসিড বেড়ে গেলেঃ ইউরিক এসিড আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে শরীরে এটির মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে ব্যথা হতে পারে। এটিকে মেডিকেল ভাষায় Gout বলা হয়। কারও ইউরিক এসিড বেশি থাকলে বিচিযুক্ত খাবার, শুটকি, গরুর মাংস, সামুদ্রিক খাবার, ডাল, বেকারি খাবার কম খেতে হবে। প্রয়োজনে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।

৩। রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলেঃ রক্তে হিমোগ্লোবিন এর ঘাটতি হলে শরীরে ব্যথা হতে পারে। রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায় এমন খাদ্য যেমন- কলা, কচু, কলিজা ইত্যাদি গ্রহণে এটি সাধারণত রিকভারি হয়। আমাদের দেশের নারীদের শরীরে সাধারণ ব্যথার একটি বড় কারন হিমোগ্লোবিন তথা লোহিত কণিকার ঘাটতি।

৪। আর্থ্রাইটিক ফ্যাক্টর এর উপস্থিতিঃ শরীরে বিভিন্ন প্রকর বাত তথা আর্থ্রাইটিসের উপস্থিতি থাকলে ব্যথা হতে পারে। Anti CCP, ESR, CRP, RA ইত্যাদি টেস্টের মাধ্যমে এই ফ্যাক্টরগুলো বের করা যায়।

লেখক
ডা. মনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান
অলিভ’স ফিজিওথেরাপি সেন্টার, উত্তরা

মূত্রথলী বা প্রস্রাবের উপর নিয়ন্ত্রণ কমে যাওয়ার ফলে অনিচ্ছাকৃত প্রস্রাব হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে ইউরিনারি ইনকনটিনেন্স/ প্রস্রাব ধারণে অক্ষমতা বলা হয়। এটি সব বয়সীদেরই হতে পারে, তবে মূলত বয়স্কদের এবং প্রসব পরবর্তীকালে মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এটি বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। তবে বয়স, অন্যান্য রোগ ও কখনও কখন বড় কোন সার্জারির পর এটি বেশি দেখতে পাওয়া যায়৷

Urinary Incontinence (প্রস্রাবে অসংযমতা) বা প্রস্রাব ধারণে অক্ষমতা লক্ষণঃ

এই সমস্যাটি প্রধান কয়েকটি লক্ষণ হলো-

★ ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া
★বিছানায় প্রস্রাব হয়ে যাওয়া
★তলপেটে চাপের অনুভূতি
★জোরে হাসি বা কাশির সময় প্রস্রাব বেরিয়ে
আসা
★ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব হওয়া
★সম্পূর্ণভাবে প্রস্রাব না হওয়ার অনুভূতি
★প্রস্রাবের সময় ব্যথা
★প্রস্রাব গোলাপী, লাল বা অস্বাভাবিক
★প্রস্রাবে দুর্গন্ধ
★পেটেব্যথা বা কোমরে ব্যথা
★নামাজরত অবস্থায় ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব পড়া
★কোন চাপের মধ্যে থাকলে হঠাৎ করে প্রস্রাব
বের হয়ে যাওয়া। এটা ঘটে সাধারণত-
* কোন কিছু নিচু থেকে তুলতে গেলে,
* শারিরীক ব্যায়াম করার সময়ে
* হাসলে
* হাঁচি দিলে
* কাশি দিলে

Urinary Incontinence বা প্রস্রাব ধারণে অক্ষমতা কারণগুলি কী কীঃ

★মূত্রথলির আস্তরণের প্রদাহ
★গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ওজন, হরমোনের পরিবর্তন, ইউরিনারী ট্র‍্যাক্ট ইনফেকশন(UTI)
★অধিক বয়সে গর্ভধারণ করলে
★সময়ের পূর্বে যোনি প্রসব হলে
★স্ট্রোক করার ফলে
★প্রস্টেট জড়িত থাকলে বা বিবর্ধিত প্রোস্টেট থাকলে
★কিডনি বা মূত্রথলিতে পাথর হলে
★কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে
★টিউমার থাকলে যেটি মূত্রথলিতে চাপ সৃষ্টি করে
★নিয়মিত মদ্যপান করলে
★মূত্রনালির সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হলে
★দীর্ঘদিন উত্তেজনা প্রশমনের ওষুধ নিলে
★দীর্ঘদিন ঘুমের ওষুধ গ্রহণ করলে
★পেশী শিথিল করার ওষুধ নিলে
★ভারী বস্তু বহন করলে
★মাল্টিপল সক্লেরোসিস জাতীয় স্নায়ুরোগের ক্ষেত্রে
★অস্ত্রোপচার বা আঘাতের ফলে মূত্রথলি নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুগুলির ক্ষতি হলে
★ডিপ্রেশন বা উদ্বেগ (এংজাইটি) থাকলে
★দুর্বল ব্লাডারের কারনে
★মূত্রাশয় ক্যান্সার / পাথর হলে
★স্নায়বিক রোগ থাকলে
★ডায়াবেটিস থাকলে
★তীব্র মূত্রনালীর সংক্রমন হলে
★মাত্রাতিরিক্ত ওজন থাকলে
★পারিবারিক ইতিহাস থাকলে

চিকিৎসা না করলে প্রস্রাব ধারন না রাখতে পারার এই রোগটির ফলে যেসব জটিলতা দেখা দিতে পারে তা হলোঃ

★মানসিক সমস্যা বা বিষণ্নতা
★উদ্বেগ
★ঘুম ব্যাঘাত
★যৌন সমস্যা
★লাল লাল ফুসকুড়ি
★ঘা
★মূত্রনালীর সংক্রমণ ত্বকের সমস্যা
★দৈনন্দিন কাজকর্মে পরিবর্তন
★কর্ম জীবনে পরিবর্তন
★ব্যক্তিগত জীবনে প্রভাব

প্রস্রাবে ধারনে অক্ষমতা রোগের চিকিৎসাঃ

১. আপনার লক্ষণ যদি উপরে উল্লিখিতগুলোর মত হয় তাহলে একজন ইউরোলজিস্ট, এর পরামর্শ ও চিকিৎসা গ্রহন করুন

২. ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাঃ একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ করুন। যেমনঃ
– পেলেভিক ফ্লোর পেশী এবং প্রস্রাব স্ফটিক শক্তিশালী করা

– ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেটরের মাধ্যমে পেলভিক ফ্লোরের মাংসপেশি শক্তিশালী করে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে এ সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব।

– কেগেল এক্সারসাইজ যা এই সমস্যায় সাহায্য করতে পারে।
– গর্ভাবস্থায় সময় পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ করা।

সেল্ফ/ নিজস্ব কিছু ব্যায়ামঃ

পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজঃ

— প্রথমে একটি চেয়ারে বসুন। মেরুদণ্ড সোজা রেখে একটু সামনের দিকে ঝুঁকুন। এবার প্রস্রাব ধরে রাখার জন্য দরকারি মাংসপেশিগুলো সংকুচিত করুন। এই অবস্থায় ৫ থেকে ১০ সেকেন্ড থাকুন। এবার সংকুচিত মাংসপেশি ছেড়ে দিন। পুরো প্রক্রিয়াটি ১০ থেকে ১৫ বার এবং দিনে ৩ বার করুন।

— একটি শক্ত বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে দুই হাঁটু ভাঁজ করুন। এবার দুই হাঁটুর ফাঁকে একটি ফুটবল বা বালিশ রেখে এতে চাপ দিন এবং ৫ সেকেন্ড ধরে রাখুন আর ছাড়ুন। পুরো প্রক্রিয়াটি ১০ থেকে ১৫ বার এবং দিনে ৪ বার করুন।

ব্রিজিং: সোজা চিত হয়ে শুয়ে দুই হাঁটু ভাঁজ করুন। এবার কোমর ওপরের দিকে ওঠান, ৫ সেকেন্ড ধরে রাখুন এবং ছাড়ুন। এটিও দিনে ৪ বেলা এবং প্রতিবার ১০ থেকে ১৫ বার করুন।

— ব্লাডার ট্রেনিংঃ প্রস্রাবের বেগ শুরু হওয়ার ১০ মিনিট পর প্রস্রাব করার অভ্যাস করা।

— ডাবল ভোয়েডিংঃ প্রস্রাব করার পরও কিছু সময় বসে থেকে অপেক্ষা করে আবার প্রস্রাবের চেষ্টা করা। এ ছাড়া প্রস্রাবের বেগ না এলেও ২ থেকে ৪ ঘণ্টা পরপর প্রস্রাবের চেষ্টা করা।

প্রতিরোধঃ

★ স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন
★ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
★ধূমপান ত্যাগ করুন
★সুস্থ খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন
★আঁশযুক্ত খাবার বেশি খান
★সমস্যা কমাতে নিয়মিত পেলভিক ফ্লোর এক্সারসাইজ করুন
★নিয়মিত ব্যায়াম করুন

লেখকঃ

ডা. মনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান

অলিভ’স ফিজিওথেরাপি সেন্টার,  উত্তরা

এপয়েন্টমেন্ট- ০১৯৪৬০০২৬০০

ভেরিকস ভেইন নামটা খুব চেনা না হলেও কন্ডিশনটি কিন্তু বেশ চেনা। আমাদের দেশেও এই রোগের প্রকোপ নেহাত কম নয়।

এখন জেনে নেওয়া যাক ভেরিকস ভেইন রোগটা কী ও কেন হয়।

ভেরিকস ভেইন হল রক্তনালীর একটি সাধারণ রোগ। ত্বকের নীচে জন্মানো ফোলা ও প্যাঁচানো শিরাকে ভেরিকস ভেইন বলে। এই রোগ শরীরের যেকোনও অংশেই দেখা দিতে পারে। তবে, সাধারণত পায়ে ভেরিকস ভেইন দেখা দেয়। এর ফলে যে সব উপসর্গ দেখা যায় সেগুলি হলোঃ

– ভেরিকস ভেইন হলে শুরুতে খুব একটা ব্যথা বেদনা থাকে না। শুরুতে পা ভারি লাগে।

– পায়ের শিরা ঘন নীল বা জটলা দেখায়।

– পায়ের শিরা পাকানো দড়ির মতো হয়ে যায়, যা বাইরে থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়।

– পায়ের পাতা ফুলতে শুরু করে, জ্বালা ভাব , মাসল ক্র্যাম্প ও পায়ের ক্লান্তি দেখা দেয়।

– যে অংশে শিরা ফুলে ওঠে সেখানে চুলকানি হয়।

– পায়ের ত্বকের রঙ বদলে যায়, ত্বক শুকিয়ে পাতলা হয়ে যায়, ত্বক থেকে আঁশ ওঠে এবং ফুলে যায়।

– যত দিন যায় সমস্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। টানা দাঁড়িয়ে বা বসে থাকলে পায়ে ব্যথা শুরু হয়, ব্যথা বাড়ে।

– কাফ মাসল সহ পায়ের ফুলে ওঠা শিরার ব্যথা ক্রমশ বাড়তে থাকে।

– চিকিৎসার অভাবে সমস্যা বাড়তেই থাকে, পায়ে আলসার বা ঘা হয়ে যায়। আচমকা ব্লিডিং শুরু হতে পারে।

লাইফ থ্রেটেনিং নয় বলে শুরুতে অনেকেই ব্যপারটাকে সেভাবে গুরুত্ব দেন না। কিন্তু অবহেলা করলে সমস্যা বাড়ে সেকথা বলাই বাহুল্য।

কারণসমূহ :

  • জন্মগতভাবেত্রুটিপূর্ণহৃদপিণ্ডথাকলে।
  • অনেকক্ষণএকনাগাড়েদাঁড়িয়ে/ বসেকাজকরলে।
  • পায়েরওপরপাতুলেঅনেকক্ষণবসেথাকারঅভ্যাসথাকলে।
  • অতিরিক্তওজন।
  • গর্ভবতীমায়েদেরএরোগহবারসম্ভাবনাবেশিথাকে।

আমাদের করনীয়ঃ

১) নিয়মিত শরীরচর্চা ও ব্যায়ামের করুন। পায়ের রক্ত চলাচলকে বৃদ্ধি করতে রোজ হাঁটুন।

২) শরীরের ওজন কমান ও খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে সচেতন হন। কম লবণযুক্ত খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস করুন।

৩) উঁচু হিলযুক্ত জুতা ব্যবহার করবেন না। সমান আকৃতির জুতো পড়ুন, যাতে কাফ মাসলের ক্রিয়াশীলতা বৃদ্ধি পায়, যা শিরার জন্য উপকারী।

৪) কোমর, পায়ে,হাতে ও কুঁচকিতে আঁটোসাঁটো কিছু পরবেন না, যাতে রক্ত চলাচলে সমস্যা দেখা না দেয়।

৫) দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবেন না।

৬) বেশিক্ষণ পা ভাঁজ করে বসবেন।

ভেরিকোস ভেইন এর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতি:

— ককম্প্রেসন স্টকিংস – এটা ফোলা কমাতে সাহায্য করে এবং পায়ে মৃদু চাপসৃষ্টি করে, যেটা রক্তকে ধাক্কা দিয়ে হৃদয়ের কাছে পৌঁছে দেয় এবং রক্তের টান কম করে দেয়।

— বিভিন্ন ধরনের পজিশনইং করা যেমন শোয়ার সময় পা উঁচু রাখা।

— বিভিন্ন রকম থেরাপিওটিক এক্সারসাইজ এর মধ্যমে কিউর করা।

— ভেরিকোস ভেইন এ ইলেকট্রথেরাপির রোল আছে।যেমন-ইসপাজম বা ক্র্যাম্প মাংসপেশিকে রিলাকজিং করা,রক্ত সনচালন বাড়ানোর।

অপারেশন ছাড়াও ফিজিওথেরাপি এবং খাদ্যাভ্যাস,শরীরচর্চা মাধ্যমেও ভেরিকোস ভেইন নিরাময় করা সম্ভব।

ডা. মনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান

অলিভ’স ফিজিওথেরাপি সেন্টার,  উত্তরা

এপয়েন্টমেন্ট- ০১৯৪৬০০২৬০০

 

আমরা কম-বেশি সবাই Headache বা মাথা ব্যথা সমস্যায় ভুগি। জীবনে কখনো মাথা ব্যথায় ভোগেননি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিভিন্ন কারনে আমাদের মাথা ব্যথা হতে পারে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- Tension Headache, Migraine Headache, Cervicogenic Headache ইত্যাদি।

Headache এর অন্যতম শ্রেণি হচ্ছে Cervicogenic Headache। সারাবিশ্বের ২-৩% মানুষ Cervicogenic Headache-এ ভোগে। যাঁদের Headache আছে তাদের মধ্যে ১৭% মানুষ এরই Cervicogenic Headache রয়েছে।

Cervicogenic Headache নিরূপণের অন্যতম বিষয় হচ্ছে সঠিক Assisment। খুব সহজভাবে আমরা Assisment এর মাধ্যমে কনফার্ম হতে পারি যে এটি Cervicogenic Headache কি না।

Cervicogenic Headache এর এভিডেন্স বেসইড চিকিৎসা হচ্ছে ফিজিওথেরাপির জনপ্রিয় ম্যানুয়াল শাখা Mulligan technique। এগুলার মধ্যে রয়েছে Fist traction, SNAGs, Reverse SNAGs ইত্যাদি।

সার্ভাইক্যাল রিলেটেড মাথা ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ম্যাজিক এর মত কাজ করে। তাই এই ধরনের মাথা ব্যথার জন্য ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক এর কাছে যেতে পারেন। যাঁদের দীর্ঘদিন ব্যাথানাশক নিয়েও মাথা ব্যথা কমছে না, তাঁরা আশা করি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক এর পরামর্শ ও চিকিৎসা নিয়ে উপকৃত হবেন।

মাথা ব্যথা সম্পর্কিত যেকোন পরামর্শ নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।

ডা. মনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান

অলিভ’স ফিজিওথেরাপি সেন্টার,  উত্তরা

এপয়েন্টমেন্ট- ০১৯৪৬০০২৬০০

 

আজ ৮ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস। বিশ্ব ফিজিওথেরাপি সংস্থা- ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন ফর ফিজিক্যাল থেরাপির অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারে প্রতিপাদ্য বিষয়- বিষণ্ণতা, উদ্বেগ ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ফিজিওথেরাপি। মানবজীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এবার বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবসের মূল থিম দাঁড় করানো হয়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০% বাত তথা অস্টিওআরথ্রাইটিস রোগী বিষণ্ণতায় ভোগে, ৩৩% স্ট্রোক রোগী বিষণ্ণতায় ভোগে, ৩৮% বয়স্ক রোগী বিষণ্ণতায় ভোগে। প্রত্যেক মানুষের ব্যথা, শারীরিক অক্ষমতা কিংবা অসারতার ফলে দীর্ঘমেয়াদী বিষণ্ণতা হতে পারে। ফিজিওথেরাপিস্টরা রোগীদের সমস্যা শুনে, বুঝে, প্রোগ্রাম সেট করে প্রেরণা দিয়ে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

 একজন রোগী প্রচণ্ড কোমর ব্যথায় ভুগছেন। অনেকে এই ব্যথার জন্য অফিস করতে পারছেন না। ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে একটু ব্যথা কমলেও, ব্যথা বার বার আসছে। কারণ, ব্যথার ওষুধ ব্যথার কারণ কমায় না, ব্যথা সাময়িকভাবে কমায়। ফলে রোগীটি ব্যথার কারণে অফিসে যেতে পারছে না, এক অনিশ্চয়তায় তাঁর দিন কাটছে। এটি দীর্ঘদিন থাকলে তাঁর মাঝে বিষণœতা ও উদ্বেগ তৈরি হবে যার ফলে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা মারাত্মকভাবে অবনতি হতে পারে। একজন স্ট্রোক রোগী কিংবা একজন স্পোর্টস ম্যানেরও একই সমস্যা হতে পারে। একজন ফিজিওথেরাপিস্টই পারে তাঁর এই সমস্যা নিরসন করে মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে অবদান রাখতে।

যাই হোক, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা সম্পর্কে আসুন কিছু জেনে নেই। ফিজিওথেরাপি একটি স্বতন্ত্র চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীকে পরীক্ষা করে, রোগ নির্ণয় করে, ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা প্রদান করেন এবং বিভিন্ন ফিজিক্যাল মেথডের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ, প্রতিকার, পুনর্বাসনসহ স্বাস্থ্যসেবার বিশাল অংশজুড়ে চিকিৎসা-পেশাজীবী হিসেবে কাজ করে। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা-পদ্ধতি হলো- ম্যানুয়াল থেরাপি, মাংসপেশির সঞ্চারণ বৃদ্ধি, এ্যাক্টিভ এক্সারসাইজ, ইলেক্টোথেরাপি, ক্রায়োথেরাপি, টেপিং, ড্রাই নিডলিংসহ নানা প্রকার গবেষণালব্ধ চিকিৎসা যার মাধ্যমে ওষুধবিহীনভাবে ব্যথা, অক্ষমতা, পক্ষাঘাত, অথবা সার্জারি ছাড়াই বহু সমস্যার আধুনিক চিকিৎসা করা হয়। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ২৫০০ ফিজিওথেরাপিস্ট আছেন যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিওথেরাপিতে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল, পুনর্বাসন কেন্দ্র, চেম্বার ও অন্য এনজিওতে কাজ করছেন।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য ১৯৭২ সালে বিদেশি ফিজিওথেরাপিস্টদের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার সূচনা হয়। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার গুরুত্ব অনুধাবন করে ১৯৭৩ সালে আরআইএইচডি (বর্তমানে নিটোর) ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের অধীনে স্মাতক ডিগ্রী চালু করে (এমবিবিএস ও বিডিএস একই অনুষদের অধিভুক্ত)। বর্তমানে নিটোর (পঙ্গু হাসপাতাল), আইএইচটি, বিএইচপিআই (সিআরপি), গণবিশ্ববিদ্যালয়, সাইক, স্টেট কলেজ অব হেলথ সায়েন্সে পাঁচ বছর ফিজিওথেরাপি কোর্স (চার বছর মেয়াদী গ্র্যাজুয়েশন ও এক বছরের বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ) চালু রয়েছে।

আমরা যদি আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের কথা চিন্তা করি তাহলে দেখতে পাব, শুধু ওষুধ সব রোগের পরিপূর্ণ সুস্থতা দিতে পারে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি যেমন অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়, তেমনি কিছু রোগে ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে যেসব রোগের উৎস বিভিন্ন মেকানিক্যাল সমস্যা ও বয়সজনিত সমস্যা, সেসব ক্ষেত্রে ওষুধের ভূমিকা তুলনামূলকভাবে কম যেমনÑ বাতের ব্যথা, স্পোর্টস ইনজুরি, হাড়ের ক্ষয়জনিত ব্যথা, সারভাইক্যাল ও লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস, ডিস্ক প্রলেপস, অস্টিও-আরথ্রাইটিস, ফ্রোজেন সোল্ডার বা জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া, প্লাস্টার বা অস্ত্রোপচার পরবর্তী জয়েন্ট স্টিফনেস, স্ট্রোকজনিত প্যারালাইসিস, ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা বেলস পালসি, সেরেব্রাল পালসি বা সিপি বাচ্চা ইত্যাদি। এসব রোগ হতে পরিপূর্ণ সুস্থতা লাভের জন্য ওষুধের পাশাপাশি ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা প্রয়োজন।

ফিজিওথেরাপিতে শুধু ব্যাচেলর অথবা পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রীধারীকেই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক বলা যাবে। যিনি কমপক্ষে ফিজিওথেরাপি ব্যাচেলর ডিগ্রী নিয়েছেন। একজন কোয়ালিফাইড ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীর রোগ নির্ণয়সহকারে চিকিৎসাসেবা দিতে পারবেন। একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক রোগীর রোগ বর্ণনা, ফিজিক্যাল টেস্ট, ফিজিওথেরাপিউটিক স্পেশাল টেস্ট, প্রয়োজন সাপেক্ষে বিভিন্ন রেডিওলজিক্যাল টেস্ট এবং প্যাথলজিক্যাল টেস্টের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় বা ডায়াগনোসিস করে থাকেন। এরপর রোগীর সমস্যানুযায়ী চিকিৎসার পরিকল্পনা অথবা ট্রিটমেন্ট প্লান করেন এবং সেই অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি প্রদান করে থাকেন।

বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এর মধ্যে অনেকে সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা পায় না এবং অপচিকিৎসার শিকার হন। আমাদের দেশে এই চিকিৎসাসেবাটি বিভিন্ন মহলের অপপ্রচার (ব্যায়াম ও স্যাক) ও অপব্যবহারের (কোয়ালিফাইড ফিজিওথেরাপিস্ট ছাড়া অন্য কোন চিকিৎসক কর্তৃক ফিজিওথেরাপি পরামর্শ দেয়া) কারণে সাধারণ মানুষ সঠিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দেশে স্বতন্ত্র ফিজিওথেরাপি কলেজ নির্মাণ, স্বতন্ত্র কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা ও স্নাতক ডিগ্রীধারী ফিজিওথেরাপিস্টদের পদ সৃষ্টি ও বাস্তবায়ন না করায় এই চিকিৎসাব্যবস্থা বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে।

তাই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ও পরামর্শ নেয়ার জন্য অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের কাছে যাবেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাসপাতালে বা ক্লিনিকে ভর্তি থেকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হয়। সেক্ষেত্রে রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করে। তবে আশার ব্যাপার হলো, মানুষ এখন অনেক সচেতন হচ্ছে, তাই তারা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ও পরামর্শ নেয়ার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের খোঁজ করে তার তত্ত্বাবধায়নে ফিজিওথেরাপি নিতে চান।

লেখক :

ডা. মনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি

বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি (ঢাবি), এমপিএইচ, এমএসএস (ঢাবি)

প্রতিষ্ঠাতা, অলিভ’স ফিজিওথেরাপি সেন্টার, উত্তরা, ঢাকা

সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি এ্যাসোসিয়েশন

আমাদের কাছে হাঁটু ব্যথার রোগী আসলে আমরা হিস্ট্রি নিই, কন্ট্রাকটাইল, নন কন্ট্রাকটাইল, স্পেশাল টেস্ট করে আমরা ডায়াগনোসিস করি। কিন্তু এগুলো করে যদি তেমন কোন সমস্যা না পাওয়া যায় তবে কনফিউজড হতে পারি আমরা। এক্ষেত্রে, একটু ভেবে দেখতে হবে যে সমস্যাটি সোরিয়াসিক আর্থ্রাইটিস (Psoriatic Arthritis) কী না!

সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস (Psoriatic Arthritis) একটি দুর্লভ রোগ। হঠাৎ করে জয়েন্ট স্টিফনেস, জয়েন্ট ফুলে যাওয়া এই রোগের ফিচার। যাদের সিরিয়াসিস থাকে তাদের সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস থাকতে পারে। আবার যাদের সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস আছে তাদের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রবিশেষে সোরিয়াসিস পাওয়া যায়।

সোরিয়াসিসে স্কিন প্যাচ, ড্রাই স্কিন পাওয়া যায়। সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস একটি নন প্রগ্রেসিভ সমস্যা। স্পেসিফিক কারনও নেই, স্পেশাল টেস্টও নেই। এমআরআই, ডায়াগনোসটিক আল্টাসাউন্ড ও অন্যান্য এন্টিবডি কালচার করে এটি মুটামুটি নিশ্চিত হওয়া যায়।

একজন রিউমাটোলোজিস্ট এর পাশাপাশি একজন ফিজিওথেরাপিস্ট জয়েন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিসের ব্যথা ও স্টিফনেস প্রশমনের ক্ষেত্রে। MWM, স্পেসিফিক Muscle Group Strengthening, Cryotherapy খুব ভালো চিকিৎসা সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিসের ব্যথা ও স্টিফনেসে।

আশা করি, ছোট এই আর্টিকেল থেকে কিছুটা শেয়ার করতে পেরেছি।

ডা. মনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি

প্রতিষ্ঠাতা, অলিভ’স ফিজিওথেরাপি

উত্তরা, ঢাকা।

 

 

একজন রোগী কোমর ব্যথা নিয়ে যখন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক এর কাছে যায় তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা ব্যথাটাকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ব্যথা কমিয়ে দিয়ে রোগীর মুখে হাসি ফুটানোই আমাদের প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু, ব্যথা কমিয়ে যদি ব্যথার কারন না পরিবর্তন করতে পারে, তাহলে ব্যথা বারবার ফিরে আসে। রোগীর মুখের হাসিও তখন দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোমর ব্যথার রোগীদের স্পাইন চেক করি না। অথচ, একটি ক্লোজ অবজারভেশন ও প্রপার ডিটেকশনের মাধ্যমে আমরা রোগীকে একটি স্ট্যাবল জায়গায় নিয়ে যেতে পারি। আপনি যদি স্মার্ট প্র্যাকটিশনার হন, তাহলে আপনাকে গভীর চোখে এবং পেশাগত প্রজ্ঞা ব্যবহার করে ব্যাক পেইনের রোগী ম্যানেজ করতে হবে।

ব্যাক পেইনে স্পাইনাল শিফট (Spinal shifting) বা স্পাইনাল ডেভিয়েশন (Spinal deviation) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রত্যেক ব্যাক পেইনের রোগীকে আনক্লথ অবস্থায় তাঁর ব্যাক এসেসমেন্ট করা উচিত ( আপনি মেইল হলে ফিমেল রোগীর ক্ষেত্রে ফিমেল সহকর্মীদের সাহায্য নেয়া যেতে পারে)। এক্ষেত্রে আমাদের সোল্ডার লেভেল, স্ক্যাপুলার লেভেল, স্পাইনাল কার্ভ, শিফট, ডেভিয়েশন, ক্রিজ, ASIS, PSIS, গ্লুটিয়াল ফোল্ড, টিলটিং- সবকিছুই লক্ষ্য করে লিপিবদ্ধ করতে হবে। যে সমস্যা আমরা পাবো, সেটি নিয়ে কাজ করতে হবে।

আমরা স্পাইনাল শিফট/ ডেভিয়েশন কারেক্ট না করে যতই ফ্লেক্সন, এক্সটেনশন, ম্যানিপুলেশন আর আইএফটি দিই না কেন, দিনশেষে রোগীর সুস্থতা প্রাপ্তি হবে শূন্যের কাছাকাছি।

শিফট কারেকশনের জন্য কিছু ফিজিওথেরাপিউটিক প্রসিডিওর রয়েছে, আবার কিছু সেলফ কারেকশন টেকনিকও রয়েছে।

আমরা রোগীর কোনদিকে শিফট, কোনদিকে ব্যাথা তা মাঝেমধ্যে গুলিয়ে ফেলি। মিড-লাইন থেকে রোগীর শরীর যেদিকে সরে যায়, সেটিই হচ্ছে শিফট। অর্থাৎ, শিফট কারেকশন মানে হচ্ছে, শিফটেড পার্টটা আবার মিড-লাইন বরাবর নিয়ে আসা।

রোগীর যেপাশে শিফট সে পাশ নিচে রেখে রোগী কাত করে শিফটের এপেক্স বরাবর বালিশ ব্যবহার করে শুয়ে থাকা, রোগী দেয়ালের সামনে শিফটের অন্যপাশ দাঁড়িয়ে শিফটের দিক থেকে ডেভিয়েশনের দিকে ম্যানুয়াল ফোর্স এপ্লাই করা, শিফটের সাইডে প্যাসিভ ম্যানুয়াল রোটেশন দেয়া- স্পাইনাল শিফট কারেকশনের সেরা উপায়সমূহ।

স্পাইনাল শিফট সম্পর্কে জানতে ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে আমাদের প্রতিষ্ঠানে সকল পেশাজীবীদের আমন্ত্রণ রইলো।

ড. সামিয়া জান্নাত , পিটি

ইনচার্জ, ফিমেল ইউনিট

অলিভ’স ফিজিওথেরাপি, উত্তরা।

প্রয়োজনে- ০১৯৪৬০০২৬০০

স্ট্রোক আজকাল খুব কমন একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বে স্ট্রোক আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। সাধারনত শারিরীক পরিশ্রম কম করা, রক্তে চর্বির পরিমানে আধিক্য, হৃদরোগ, মানসিক দুশ্চিন্তা ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারনে স্ট্রোক বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। স্ট্রোকের পর পর একজন মানুষের কিছু মেডিকেল ইমার্জেন্সি সাপোর্ট দরকার হয়। এরপর রোগীর প্রয়োজন হয় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা। স্ট্রোক পর দ্রুত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাই রোগীকে তার পূর্বের অবস্থায় নিয়ে যেতে সাহায্য করে। আসলে, স্ট্রোকের পর ফিজিওথেরাপি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে মনে করেন স্ট্রোকের পর ফিজিওথেরাপি বা থেরাপি মানে শরীরে ম্যাসেজ করা বা মেশিন দিয়ে চিকিৎসা। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। একজন ফিজিওথেরাপিস্ট পিএনএফ, বোবাথ, কার এন্ড শেফার্ড (মটর রিলার্নিং), বাইলেটারাল আর্ম ট্রেনিং, বায়োফিডব্যাক, মিরর থোরাপিসহ বিভিন্ন আধুনিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে একজন স্ট্রোক রোগীকে পূর্বের অবস্থায় নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।

ডা. মনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান

অলিভ’স ফিজিওথেরাপি সেন্টার,  উত্তরা

এপয়েন্টমেন্ট- ০১৯৪৬০০২৬০০

 

Celebrating World Physiotherapy Day: First Ever Patient-therapist joint article in Bangladesh

Towards a successful recovery through Physiotherapy after Spinal Cord Injury

শরীরের কোনো জায়গায় আঘাত লাগলে সে জায়গাটা প্রথমে প্রদাহ হয় এবং ফুলে যায়। এ ধরনের আঘাতে যে সমস্যা হয় তাকে সাধারণত সফট টিস্যু ইনজুরি বলে।

আঘাতের ফলে হাতে-পায়ের, কোমরের বা শরীরের মাংসপেশি, হাড়, জয়েন্ট, নার্ভ অথবা লিগামেন্টের অবস্থানগত পরিবর্তনের জন্য ব্যথা হতে পারে এক্ষেত্রে।

হঠাৎ আঘাত পেলে কী হয়?

  • আঘাতপ্রাপ্তজায়গাফুলেযায়
  • প্রচণ্ডব্যথাহয়
  • ওইস্থানেঅংশটিলালহয়েযায়এবংগরমথাকে

কী কী কারনে আমরা আঘাত পেয়ে থাকি?

✅ কোনো দুর্ঘটনায় আঘাত পেলে

✅ খেলাধুলার সময় আঘাত পেলে

✅ মাংসপেশিতে হঠাৎ টান লাগলে

✅ কিংবা পা পিছলে পড়ে গেলে

আর এসব কারণে সফট টিস্যু ইনজুরি হয়। আঘাতের তীব্রতা বেশি হলে হাড় ভেঙে যেতে পারে। হাড় ভেঙে গেছে সন্দেহ হলে অবশ্যই এক্স-রে করাতে হবে এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসা নিতে হবে।

এমন আঘাতে তৎক্ষণাৎ কী করবেন?

🩺আক্রান্ত জায়গায় বরফ ব্যবহার করতে হবে ৮ মিনিট ধরে

🩺 ভিজা গামছার ভেতর বরফ নিয়ে আক্রান্ত অংশে মুড়িয়ে দিন

🩺 যদি বেশি ঠান্ডা লাগে, ৩ মিনিট পর উঠিয়ে ফেলুন। শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে আবার ৮ মিনিট ধরে পেঁচিয়ে রাখুন।

🩺 এর সঙ্গে ব্যথার ওষুধ, যেমন : প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে।

🩺 আক্রান্ত অংশ ফুলে গেলে ক্রেব ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন, যাতে আর ফুলতে না পারে।

🩺 আক্রান্ত অংশ বালিশ বা অন্য কিছু দিয়ে উঁচু করে রাখুন, যাতে হৃৎপিণ্ড বরাবর থাকে।

🩺 এই অবস্থায় হালকা ব্যায়াম, হালকা ম্যাসেজ, আলট্রাসাউন্ড থেরাপি ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। অব্যশই একজন ফিজিওথেরাপিস্ট এর পরার্মশ নিয়ে।

🩺 রোগীকে ৬-৭ দিন পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হয়। লক্ষ রাখতে হবে রোগী আবার যেন আঘাত না পায়।

ব্যথা ভালো না হলে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাসহ অন্য চিকিৎসা নিতে হবে।

ডা. সামিয়া জান্নাত , পিটি
ইনচার্জ, ফিমেল ইউনিট
অলিভ’স ফিজিওথেরাপি, উত্তরা।

এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য ফোন করুন ০১৯৪৬০০২৬০০

একটি স্পাইনাল ডিসঅর্ডার। সাধারণের মাঝে এই সমস্যাটি কমন নয়, তবে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকদের কাছে এটি একেবারে আনকমনও নয়। অনেকে এনকাংলোজিং স্পন্ডালাইটিসের সাথে এটিকে গুলিয়ে ফেলি আমরা। অথচ, এটি একটি স্বতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সমস্যা। মেরুদন্ডে লিগামেন্ট ও টেন্ডন ডিফিউজ (একীভূত) হয়ে এটি ক্যালসিফিকেশন হলে ধীরেধীরে স্পাইনের রেঞ্জ কমে যায়। ভার্টিব্রাল বডির সামনের অংশে এই ডিফিউশন হয় সাধারণত। এটি একটি রিউমাটোলোজিক্যাল স্পাইনাল ডিসঅর্ডার। ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এটির প্রারম্ভিকতা হয়। নারীদের তুলনায় পুরুষদের বেশি হয়। ব্যথানাশক ওষুধ, খাদ্যাভাস ও অথোসিস ডিভাইস এর সহায়ক চিকিৎসা। তবে, মূল চিকিৎসা হলো- ফিজিওথেরাপি! এই সকল রোগীদের সাধারণত ‘ফ্লেক্সন’ প্রিন্সিপালে ভালো কাজ করে। মাসেল রিহ্যাব, সিম্পটম রিলিভিং ইলেক্ট্রিক এপারেটাস ভালো মাধ্যম চিকিৎসার। এটি নন প্রগ্রেসিভ ডিসঅর্ডার।

ডা. মনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান

অলিভ’স ফিজিওথেরাপি সেন্টার,  উত্তরা

এপয়েন্টমেন্ট- ০১৯৪৬০০২৬০০

আজকাল আমাদের প্রত্যেকেরই কোমর ব্যথা একটি সাধারণ বিশেষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নানা কারনেই কোমর ব্যথা হতে পারে। অস্বাভাবিক পশ্চারে বসা, কাজ করা, দীর্ঘসময় ধরে ভ্রমণ কিংবা বয়সজনিত কিংবা আঘাতজনিত কারনে কোমর ব্যথা হতে পারে। বেশিরভাগ কোমর ব্যথাই মাংসপেশির উপর অতিরিক্ত চাপ, মাংসের দূর্বলতা কিংবা মাংসপেশি সংকোচনের জন্য হয়। পিএলআইডি/ ডিস্ক প্রোলাপসের কিছু রোগী রয়েছে যাদের কোমরের দুই হাড়ের মধ্যবর্তী জেলির মতো ডিস্ক বেরিয়ে আসে কিছুটা। এটিকে ডিস্ক প্রলাপস বলা হয়। ডিস্ক বেরিয়ে আসার এ বিষয়টিকে আমরা চারভাগে ভাগ করি। একমাত্র যাদের ডিস্ক প্রলাপস এক্সট্রুশন পর্যায়ের ও যাদের রেড ফ্ল্যাগ থাকে কেবল তাদের ক্ষেত্রেই অপারেশন প্রয়োজন হয়। তবে গবেষণা মতে, ভালো একটা বিষয় হলো শতকরা ৯০% এর বেশি মানুষের পিএলআইডি অপারেশন করবার মতো নয়। এবার আসুন, রেড ফ্ল্যাগ কী তা একটু জেনে নেই। কোমর ব্যথার রোগীর যদি পায়ের মাংসপেশি নিস্তেজ ও নিথর হয়, কিংবা প্রস্রাব/ পায়খানা ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে পরে কিংবা সেক্সুয়াল অরগান আক্রান্ত হয় তবে আমরা সেটিকে রেড ফ্ল্যাগ বলি। পিএলআইডি রোগীদের ক্ষেত্রে খুব অল্প সংখ্যক রোগীর রেড ফ্ল্যাগ দেখা যায়। এক্ষেত্রে, কোমর ব্যথার রোগী তথা পিএলআইডি রোগীদের সবচেয়ে বিজ্ঞানসম্মত ও কার্যকরী চিকিৎসা হলো ফিজিওথেরাপি। এক্ষেত্রে অনেকেই ফিজিওথেরাপি বলতে গরম সেঁক বা মেশিন বুঝেন। কিন্তু, বর্তমানে পিএলআইডি চিকিৎসায় বিশ্বব্যাপী ম্যাকেঞ্জি এপ্রোচ, মালিগান কনসেপ্ট খুবই কার্যকরী ম্যানুয়াল ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা। ডিস্ক প্রলাপসে যেহেতু ডিস্ক বেরিয়ে আসে কিছুটা, সেক্ষেত্রে একজন কোয়ালিফাইড তথা গ্র্যাজুয়েট ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন এপ্রোচের মাধ্যমে ডিস্কটাকে পূর্বের জায়গায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। এর সাথে রোগীর মাংসপেশির সক্ষমতা, শক্তি ও স্থাপকতা নিয়েও কাজ করা গেলে এধরনের রোগীরা খুব দ্রুত সময়ে অপারেশন ছাড়াই সুস্থ হয়ে ওঠে।

ডা. মনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান

অলিভ’স ফিজিওথেরাপি সেন্টার,  উত্তরা

এপয়েন্টমেন্ট- ০১৯৪৬০০২৬০০

 

সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে চিকিৎসকরোগীর লেখা বাংলাদেশের প্রথম যৌথ প্রবন্ধ

মেরুরজ্জুতে আঘাতপরবর্তী সফল পুনর্বাসনে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

 ডামনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি  বিভা সিদ্দিকী

 ডামনিরুজ্জামান অলিভ (ফিজিওথেরাপিস্ট)

আমার পেশাগত জীবনের শুরুতে আমি বাংলাদেশের অন্যতম একটি বৃহৎ হাসপাতালে কর্মরত ছিলাম। আজ থেকে প্রায় ৭ বছর পূর্বের একজন রোগীর মেরুরজ্জুতে আঘাত-পরবর্তী পুনর্বাসনে একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক হিসেবে বেশ কিছু স্মৃতি ও রোমাঞ্চ আমাকে এখনও আন্দোলিত করে। একজন ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক হিসেবে কীভাবে একটি সফল পুনর্বাসন এবং কঠিন পথ একজন রোগীর সাথে যৌথভাবে পাড়ি দিয়েছি, তা-ই এই লেখাটিতে বিবৃত করছি।

আমি যাঁর কথা বলছি, তিঁনি আসলে একটি দোতলা দালানের ছাদ থেকে দুর্ঘটনাবশত নিচে পরে গেছিলেন। এতে তাঁর মেরুদন্ডের ৩ টি হাড় বাজেভাবে ভেঙে যায় এবং ঐ অংশ থেকে শরীরের নিচের অংশ অসাড় ও বোধহীন হয়ে যায় । একে মেডিক্যাল পরিভাষায় ‘স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি’ বা ‘মেরুরজ্জুতে আঘাত’ বলে।

আমি যখন হাসপাতাল থেকে প্রতিদিনের মতো বেরিয়ে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখনই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে ফোন এলো ফিজিওথেরাপি বিভাগে। একজন রোগীর অপারেশন- পূর্ববর্তী মাংসপেশির শক্তি পরিমাপ করতে হবে আমাকে। আমি তড়িঘড়ি করে সেখানে গেলাম। 

রোগীর ফাইল দেখে কিছুটা আশাহত হলাম। উপর থেকে পরে মেরুরজ্জুতে আঘাত। কোমর থেকে পায়ের আঙ্গুলে মাংসপেশির ক্ষমতা ছিলো শূন্য এবং বোধ তথা সেনসেশনও ছিলো অনুপস্থিত। আমার খুব খারাপ লাগলো। একে তো আঘাতের ধরন ও শারিরীক প্রকাশন ভালো ছিলো না, এর উপর রোগী ছিলেন বয়সে তরুণ।

কয়েকদিন পর রোগীর সার্জারি হলো; তবে সেটি ছিলো শুধুমাত্র টুকরো হওয়া হাড়ের যথাযথ সম্মিলন ঘটাতে, মূলত রোগীর এমআরআই এর রিপোর্ট ভালোকিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলো না।

কয়েকদিন পর, তিঁনি কেবিনে স্থানান্তরিত হলেন, কাকতালীয়ভাবে আমিই সেখানে  ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে মনোনীত হলাম। এই প্রথম রোগীর পরিবারকে দেখলাম। অত্যন্ত প্রজ্ঞাময় ও আশাবাদী মনে হয়েছিলো তাঁদেরকে। দুর্ঘটনার পরিণতি যা-ই হোক, একটি রোগীর পেছনে আশার প্রদীপ হাতে একদল মানুষ থাকলে পথ খুঁজে বের করাই যায়। আমার দশ বছরের পেশাগত জীবন থেকে নিয়েই বলছি কথাটি।

যা-ই হোক, এগিয়ে চললো আমাদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন, রোগী ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে আমার যৌথ চিন্তা-নির্ভর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন। আমরা হঠাৎ আবিষ্কার করলাম- রোগী তথা মিস বিভার পায়ের একটি আঙ্গুল নড়ছে!

আমার চক্ষু তখন ছানাবড়া! মূলত, আমি আজীবন আশাবাদী দলের মানুষ ও পেশাজীবীই মনে করতাম নিজেকে, তবে মিস বিভার সমস্যার তীব্রতা ও ধরনে আমি সন্দিহান ছিলাম। তবে আমার লক্ষ্য ছিলো একাগ্র। আমি জানতাম- কিছু এলে চেষ্টাই হবে,চেষ্টা না করলে ভালোকিছুও আসবে না। ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাটাই এমন! 

আমি আমার প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান, কিছুটা অভিজ্ঞতা ও একাগ্রতার শতভাগ দিতে চাইলাম। আমি জানতাম, রোগীটি আমাদের হাসপাতালে ‘ক্ষণিকের অতিথি’; তবে, তাঁর জীবনের স্বর্ণালি দিনের কোন স্বপ্ন যদি অবশিষ্ট থাকে, তবে তা বিনির্মাণে নিজেকে ক্ষুদ্র অংশীদার করবার সুযোগ রয়েছে, রয়েছে আত্মতুষ্টির তৃপ্তি।

কয়েক সপ্তাহ, হাসপাতালে থেকে তাঁর কিছুটা দৃশ্যমান অগ্রগতি ও উন্নতি হলো। কিন্তু ভবিষ্যতের চাকা কতটুকু পথ ঘুরতে পারবে তা নিয়ে কিছুটা চিন্তাও হচ্ছিলো। হাসপাতাল ছেড়ে বাইরে হাজারো ফিজিওথেরাপিস্ট নামধারী ‘অপেশাদারের’ দৌরাত্ম্যে তাঁর পুনর্বাসন ক্ষতি হয় কি না, সে শংকায়ও ছিলাম।

হাসপাতাল থেকেই মিস বিভার পরিবার তথা তাঁর মা, বাবা ও হাজবেন্ড আমাকে যারপরনাই সহযোগিতা করেছেন। আমি মিস বিভাকে সাহস যুগিয়েছি আর তাঁর ইতিবাচক মানসিকতাসম্পন্ন আধুনিক পরিবার আমাকে এর রসদ জুগিয়েছে।

হাসপাতাল থেকে বিদায় নেয়ার সময় ঘনিয়ে আসতেই তাঁদের মুখে অনিশ্চয়তার ছাপ দেখেছিলাম আমি। মূলত, ঐ সময় মিস বিভার কেবল ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ও পুনর্বাসনই দরকার ছিলো, আর এ বিষয়েই তাঁর পরিবার চিন্তিত ছিলেন বেশ।

তাঁর কনসাল্টিং নিউরোসার্জন খুব ভালো ছিলেন। একটি সফল অস্ত্রোপচারের পর একটি সুন্দর পরামর্শে তিঁনি হাসপাতাল ছেড়ে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) তে ভর্তি হয়ে ফিজিওথেরাপি নিতে বলেছিলেন। কিন্তু কিছু অন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের কারনে মিস বিভা ওখানে ভর্তি হতে পারেনি।

এ ঘটনার পরপরই সবার মন খারাপ হয়ে যায়। হঠাৎ আমাকে তাঁর পরিবার রোগীর বাসায় পুনর্বাসন করার জন্য আমাকে অনুরোধ করেন। আমার কাঠামোবদ্ধ চাকুরে-জীবন আর ঢাকার যানজটের সঙ্গে যুদ্ধ করে এটি ছিলো প্রায় অসম্ভব। রোগীর বাসা আমার বাসার কাছাকাছি হওয়ায় এবং অল্পকিছুদিনের মধ্যেই তাঁদের সাথে সখ্য হওয়ায় আমি এই বিষয়ে আর নেতিবাচক হতে পারিনি।  

শুরু হলো,তাঁর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন এর সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অধ্যায়, হোম-বেইসড পুনর্বাসন। এটি আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিলো নিঃসন্দেহে। এর দুইটি ভিন্ন কারন ছিলো। প্রথমত- হাসপাতাল/ পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাইরে এধরনের প্রথম অভিজ্ঞতা  এবং দ্বিতীয়ত- সমস্যা পরবর্তী রোগীর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা ভাবনা। আমার মনে আছে, তাঁর বাসা আমরা একটি ছোটখাটো পুনর্বাসনকেন্দ্র করেছিলাম। রোগীর স্বপ্নযাত্রায় সারথী ছিলো তাঁর প্রত্যয়ী পরিবার ও আমি। যখন যেটার কথা বলেছি, যা চেয়েছি- তা পেয়েছি। এরসাথে রোগীর সমস্যা নিয়ে প্রতিদিনই পড়াশুনা করে জেনেছি, তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে জানিয়েছি। আমরা সর্বোচ্চ ভালো উপায় বের করার চেষ্টা করেছি সামগ্রিকভাবে।

পুনর্বাসন খাতের সাথে আমার জড়িত থাকার দশ বছরে, আমাকে অবশ্যই বলতে হবে যে এটি আমি এখন পর্যন্ত অংশ নিয়েছি এমন একটি সবচেয়ে ব্যাপক এবং সফল পুনর্বাসন কর্মসূচির মধ্যে একটি ছিলো। 

বিভা সিদ্দিকী (রোগী

ডাঃ মনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি আমার আঘাতের পর পরিকল্পনা এবং পুনরুদ্ধারের বিষয়ে লিখেছেন, আমি একজন রোগীর হিসাবে এক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই।   

সময়  চলে যায়, তবে মনে কিছু দাগ থাকে। যদিও দুর্ঘটনার পরে আমার স্মৃতিটি কিছুটা বিস্মৃত হয়ে উঠেছে। আমি ঘটনার সেই দুর্ভাগ্যজনক রাতটি কখনই ভুলবো না। আমার ছাদের কর্নিসে বসে থাকার অভ্যাস ছিলো।  যাইহোক, এটি একটি বৃষ্টিস্নাত রাত ছিলো এবং আমি আমার কাছের এক বন্ধুর সাথে ফোনে কথা বলার ছাদের কর্নিসে বসেছিলাম। আমি যখন উঠে পড়ার চেষ্টা করলাম তখন নীচের মেঝের জানালার সানশ্যাডের ছাঁচটিতে পিছলে আমাকে তছনছ করে তৃতীয় তলা থেকে মাটিতে পড়ে গেলাম। আমি তিনতলা বিল্ডিংয়ের পড়ার পরে সম্ভবত কী ঘটতে পারে তা নিয়ে আপনার কল্পনাও ছাড়িয়ে যাবে।      

আমার চারপাশের লোকেরা আমাকে সবচেয়ে ভালো সমাধানের জন্য সম্ভাব্য সেরা হাসপাতালে দ্রুত  নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যেমনটি আমরা জানি বাংলাদেশে বিশেষত জরুরি বিভাগে উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা পাওয়া বেশ জটিল, তাই সমস্ত কিছু মূল্যায়ন করার পরে আমার পরিবার আমাকে দেশসেরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আমি পুরো পরিস্থিতি জুড়ে সচেতন ছিলাম; কথা বলার এবং আলোচনার জন্য সবটুকু আমার মনের নেই, তবে যা হয়েছে তা আমার মনে আছে।       

আমার মনে আছে জরুরি বিভাগের ডাক্তার যিনি আমার চিবুকের নিচে কাটা সেলাই করেছিলেন। আমাকে আইসিইউতে নেয়া হলো চিকিৎসকেরা এবং নার্সরা এসেছিলেন। কেউ আমাকে যেতে দেওয়ার অনুরোধ শুনেনি। আমি ভাবছিলাম যে আমি পুরোপুরি ঠিক আছি। তাদের কেবল আমাকে যেতে দেওয়া উচিত এবং তারপরে আমি বাড়িতে যেতে পারি। আমি নীচে কোমর থেকে সমস্ত স্নায়ু ফাংশন হারিয়েছি যার অর্থ কোনও সংবেদন বা আন্দোলন ছিলো না।  আমার মনে হলো পায়ে একটি ছুরি দিয়ে কাটলেও আমি এটি অনুভব করব না। আমি বুঝলাম আমি  শরীরের নিচের সমস্ত অনুভূতি হারিয়ে ফেলেছি এবং আমার পাগুলোর নড়াচড়া করতে পারছিলাম না।           

তারপরে আমাকে অস্ত্রোপচারে নেওয়া হয়েছিলো  এবং এতে প্রায় অর্ধেক দিন লেগেছিলো। নিউরোসার্জন আমার মেরুদণ্ডে একটি ফিক্সেসন রেখেছিলেন। আমি কয়েক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে থাকি। আমি সামগ্রিকভাবে, সেখানে খুব ভালো চিকিৎসা পেয়েছিলাম। যারা আমাকে চেনেন তারা জানেন যে আমি অযথা বসে থাকার কেউ নই। তবে ইনজুরি হওয়ার পর থেকে এ ক্ষেত্রে, আমি নিজের বিছানায়ও ঘুরতে পারিনি। আমার জন্য সব কিছু আমার পরিবারের সদস্যদের করতে হয়েছিলো। বাবা, মা, আমার ছোট ভাই এবং আমার স্বামী আমার ক্রমাগত যত্ন নিয়েছিলেন এবং তারা সমস্ত কর্তব্যকে নিজের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছিলেন। আমাদের নিজস্ব একটি সিস্টেম তৈরি হয়েছিলো এবং আমার একমাত্র কাজ ছিলো যত দ্রুত সম্ভব এই লোকদের অবকাশ দেয়াI  আমি আমার অস্ত্রোপচারের ৪২ দিন পরে কোনও নির্দিষ্ট মুহুর্তের কথা মনে করি যখন আমাকে অবশেষে দাঁড়াতে দেওয়া হয়েছিল। প্রথমবার আমি  ফিজিওথেরাপি বিভাগের একটি কক্ষে দাঁড়াতে যাচ্ছিলাম।  ছোট্ট বিষয়গুলি কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমি তখন বুঝতে পারি। 

বন্ধুবান্ধব, পরিবার এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা সর্বত্র ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ পাঠিয়েছিলেন বিদেশ থেকে। স্বজনরা এসেছিলেন কেবল আমাকে দেখতে এবং আমাকে শক্তি দিতে। আমি যাদের সাথে ঘনিষ্ঠ হওয়ার ঘটনা ঘটেনি তারা আমার শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলো; আমি আমার সত্যিকারের শুভাকাঙ্ক্ষীদের চিনতে সুযোগ পেয়েছিলাম। একজীবনে কতজন লোক তা পায়? এবং আমি এটি এত তরুণ পেয়েছিলাম। এটি নিশ্চিতভাবেই আমার জীবনকে বদলে ফেলেছে এবং আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে এই সমস্ত কিছুর জন্য আমি কত ভাগ্যবান-একটি প্রেমময় পরিবার, একজন উৎসর্গীকৃত স্বামী, একজন পাগল সহায়ক বন্ধু, দুর্দান্ত চিকিৎসা এবং অবশ্যই একজন নিবেদিত ফিজিওথেরাপিস্ট। 

সুতরাং, আপনারা যারা হতাশ বোধ করেন এবং জীবনের শেষ প্রান্তে রয়েছেন বলে মনে করছেন তাঁদের আমি বলব – আপনি কখনই খুব ছোট বা খুব তুচ্ছ নন কারণ মহাবিশ্বও আপনার জন্য একটি পরিকল্পনা করেছে। দেখুন এবং অপেক্ষা করুন! এটি একটি মৃত্যুর কাছাকাছি অভিজ্ঞতা ছিলো এবং  মৃত এবং জীবিতদের সীমানায় মাঝে ছিলাম এবং  কেবলমাত্র একটি জীবন ফিরে পেয়েছি যেখানে প্রত্যয়, চেস্টা আর একাগ্রতা নিয়ে  আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠে এসেছি।         

১ডা. মনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি

বিপিটি (ঢাবি), এমপিএইচ, এমএসএস(ঢাবি)

প্রতিষ্ঠাতা, অলিভ’স ফিজিওথেরাপি সেন্টার

উত্তরা, ঢাকা।

২বিভা সিদ্দিকী

ব্যাচেলর ইন ইকোনোমিক্স, মাস্টার্স ইন ইসিডি

ম্যানেজার, স্কলাস্টিকা এক্সিকিউটিভ অফিস

 

 

১। আমরা শুধু এফেক্টেড সাইডের প্যারালাইসড মাসল নিয়ে এম্পেসাইজ করি। নন এফক্টেড পার্টের কমপেনসেটরি টোন নিয়েও চিন্তা ও চেষ্টা করতে হবে।

২। অরবিকুলারিস অরিস, অরবিকুলারিস অকুলিস, জাইগোমেটাস ইত্যাদি মাসেলের আলাদা স্থেন্দিনিং করতে হবে।

৩। পিএনএফ টেকনিক ইভিডেন্স বেইসড ও কার্যকর চিকিৎসা ফেসিয়াল পালসির ক্ষেত্রে

৪। এফেক্টেড সাইডের জ (চোয়াল) ব্যবহার বাড়াতে হবে

৫। কুলকুচি করা, স্ট্র দিয়ে পানি খাওয়া বাড়াতে হবে

৬। চোখের ইনফেকশন এড়াতে সানগ্লাস/ চশমা ব্যবহার করতে হবে

৭। ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে হবে রোগীকে

৮। TENS/ IRR দেয়ার বদঅভ্যেস ত্যাগ করতে হবে

ডা. মনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান

অলিভ’স ফিজিওথেরাপি সেন্টার,  উত্তরা

এপয়েন্টমেন্ট- ০১৯৪৬০০২৬০০

 

ঘুমন্ত অবস্থায় হঠাৎ পায়ের মাংসপেশির টানের ব্যথায় কুঁকিয়ে উঠলেন আপনি। রাতে হঠাৎ পায়ের মাসল ক্র্যাম্প বা মাংসপেশিতে টানের এই অভিজ্ঞতা অনেকেরই রয়েছে। এমন অসহনীয় ব্যথায় কী করবো তা অনেকেই বুঝতে পারি না। এমন ঘটনা ঘুমের মধ্যে বা জেগে থাকা অবস্থাতেও হতে পারে। তবে ঘুমন্ত অবস্থায় এটি বেশি হয়ে থাকে। এ ধরনের টান কয়েক সেকেন্ড থেকে ১০-১৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে ব্যথাটা কয়েক ঘন্টা থেকে এক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে। সাধারনত কাফ মাসলে এই ধরনের ক্র্যাম্প বেশি হয়। এ ছাড়াও হাতে, পেটে, ঘাড়ে, কোমরে, পায়ের তালুতে মাসল ক্র্যাম্প হতে পারে।

মাসল ক্র্যাম্প বা মাংসপেশিতে টানের প্রধান কয়েকটি কারণ হলো-

– পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন

– ইলেক্ট্রোলাইটিক ইমব্যালেন্স (দেহে খনিজ অসমতা); অর্থাৎ শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরিন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এর ঘাটতিতে মাসল ক্র্যাম্প বা মাংসপেশিতে টান লাগে

– শরীরের যেকোনো একটি মাংসপেশি অনেকক্ষণ ধরে ব্যবহৃত হলে

– ব্যায়াম, খেলাধুলা বা যেকোনো শারীরিক কসরতের আগে ওয়ার্মআপ না করলে এবং অতিরিক্ত ব্যয়াম করলে

– হঠাৎ অতিরিক্ত ভারী কিছু উঠালে/ বহন করলে

– মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা করলে

– যাঁরা দীর্ঘসময় ধরে কম্পিউটারের সামনে কিংবা চেয়ারে বসে কাজ করেন কিংবা লম্বা সময় যানবাহন চালান, তাঁদের কাঁধ, ঘাড় অথবা পিঠের মাংসপেশিতে টান পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে

– গর্ভকালীন সময়ে, বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে প্রয়োজনীয় খনিজের অভাবে পেশিতে টান পড়ে

– হাইপোথাইরয়েডিজম, কিডনি ফেইলিওর, মিন্সট্রুয়েশন, গর্ভসঞ্চার ইত্যাদির কারনেও পেশীতে টান লাগতে পারে

কখন বুঝবেন মাসল ক্র্যাম্প হয়েছে?

– যদি পেশীতে অনেক ব্যথা হয় এবং পেশী অনেক দুর্বল হয়ে যায়

– আঘাতপ্রাপ্ত জায়গাটি যদি ফুলে ওঠে বা লালচে দাগ পড়ে যায়

– যদি আঘাতপ্রাপ্ত স্থান ব্যবহার করে স্বাভাবিক ওজন নিতে কষ্ট হয়

– মাংসপেশি আপনা-আপনি অনেক শক্ত হয়ে পড়লে

মাসল ক্র্যাম্প এড়াতে কি করবেন?

– প্রচুর পানি পান করতে হবে

– যেকোনো শারীরিক কসরতের আগে বা ভারী কিছু তোলার আগে অবশ্যই ওয়ার্মআপ করে মাংসপেশিগুলোকে সচল করে নিতে হবে

– নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে

– দীর্ঘক্ষণ না বসে, ৪০ মিনিট বা এক ঘণ্টা পর পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে হবে

– পেশীর টানমুক্ত অবস্থায় ভালো থাকতে খনিজ উপাদানযুক্ত খাবার গ্রহন করতে হবে। শাকসবজি, ফল, খেজুর, দুধ ও মাংসতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি রয়েছে। তাই এই খাবারগুলো বেশি বেশি খাবেন

মাসল ক্র্যাম্প বা মাংসপেশিতে যদি টান লাগে তাহলে আমাদের করনীয় কি?

– বিশ্রাম নিতে হবে

– পর্যাপ্ত পানি বা তরল গ্রহণ করুন। যেমন- ফলের রস, ডাবের পানি, তরমুজ, স্যালাইন ইত্যাদি।

– কাফ মাসলের ক্ষেত্রে, নিচের নিয়মানুসারে সেলফ কাফ মাসল থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ করা যেতে পারে

  • সোজাহয়েপায়েরআঙুলেরওপরভরকরেদাঁড়ালেকাফমাসলেরস্ট্রেন্থবাড়ে।দশসেকেন্ডধরেরেখেপানামিয়েফেলুন।তিনবাচারবারকরুন।প্রতিদিনঅন্ততএকবার।
  • বসেদুইপাসোজাকরে, তোয়ালেদিয়েপায়েরপাতাসামনেরদিকেটেনেআনারচেষ্টাকরুন।দশসেকেন্ডধরেরেখেছেড়েদিন।পাঁচথেকেছয়বারকরুন।
  • মাসলক্র্যাম্পএরগুরুত্বপূর্ণএকটিচিকিৎসাহচ্ছেফিজিওথেরাপিচিকিৎসা।ফিজিওথেরাপিচিকিৎসারমাধ্যমেখুবদ্রতমাসলক্র্যাম্পথেকেরিলিফপাওয়াসম্ভব।
    একজন ফিজিওথেরাপিস্ট চিকিৎসক বিভিন্ন রকম টেকনিক এপ্লাই করে মাংসপেশিকে আগের অবস্থায় ফিরে আনে।যেমন-

০ রিলাকজেশন টেকনিক

০ RICE principle থেরাপির মাধ্যমে। RICE principle এর ৪টি ধাপ হলো- রেস্ট, আইস, কমপ্রেশন ও এলিভেট

০ স্ট্রেচিং

প্রয়োজনে আরও জানতে এবং আমাদের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
সুস্থ ও নিরাপদ থাকুন।

লেখকঃ
ডা. সামিয়া জান্নাত, পিটি
ইনচার্জ, ফিমেল ইউনিট
অলিভ’স ফিজিওথেরাপি, উত্তরা।

এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য ফোন করুন ০১৯৪৬০০২৬০০

কটা বয়সের পর আমাদের হাড় ও জয়েন্টে কিছু পরিবর্তন আসে। বিশেষতঃ পঞ্চাশ বছর বয়সের আশেপাশেই আমাদের জয়েন্টগুলোতে পরিবর্তন বেশি পরিলক্ষিত হয়। মহিলাদের মেনোপোজের পর হরমোনাল কারনে এটির প্রকোপ বেশি দেখা যায়। বয়সজনিত কারনে কিংবা শরীরের ওজন উচ্চতার তুলনায় বেশি কিংবা এই দুইটি একসাথে থাকলে আমাদের হাঁটু, কোমর, কিংবা হিপ জয়েন্টের তরুণাস্থি তথা কার্টিলেজ ডেমেজ হতে পারে, এটিকে অস্টিওআর্থ্রাইটিস বলা হয়। অস্টিওআর্থ্রাইটিসের মধ্যে নি অস্টিওআর্থ্রাইটিস বা হাঁটুর সমস্যা সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়। এসকল রোগীরা সাধারনত নিচে ফ্লোরে হাঁটু গেড়ে বসতে গেলে, নামাজে শেষ বৈঠকে বসার সময় কিংবা সিঁড়ি দিয়ে উঠানামার সময় হাঁটু ব্যথার কথা বলেন। সমস্যা খুব বেশি হলে এসব কাজ না করলেও হাঁটু ভাজ করা কিংবা রেস্টিং অবস্থায় ব্যথার কথা বলেন। অনেকেই মনে করেন এই সমস্যার সমাধান হলো পেইন কিলার। কিন্তু, পেইন কিলার এসব ক্ষেত্রে কেবল ব্যথাকে দমন করে রাখে, মূলতঃ এছাড়া আর কিছুই নয়। দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ঔষধ খেয়েও কিডনি ডেমেজ, স্থূলতা, নিদ্রাহীনতা, পরিপাকে সমস্যাসহ নানান জটিলতা হতে পারে। আরেকটি সমাধানের কথা অনেকেই বলেন এবং সেটি হলো- হাঁটুর অপারেশন। কিন্তু, খুব অল্প সংখ্যক রোগীই অপারেশনের মতো পর্যায়ের। এক্ষেত্রে, একজন কোয়ালিফাইড ফিজিওথেরাপিস্ট বিভিন্ন ধরনের ম্যানুয়াল টেকনিক ও থেরাপিউটিক এক্সারসাইজের সাহায্যে একজন অস্টিওআর্থ্রাইটিস রোগীকে সুস্থ করে তুলতে পারেন। আজকাল মালিগান গ্লাইডিং, গ্যাপিং, স্থ্রেন্দিনিং, টেন্ডিনোপ্যাথি কমানোর মাধ্যমে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসায় এসকল রোগীরা সুস্থ হচ্ছেন।


ডা. মনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান
অলিভ’স ফিজিওথেরাপি সেন্টার, উত্তরা

 

বার্ধক্য উপনীত হওয়া তথা প্রবীণ হওয়ার ব্যাপারটি একটি নিরবচ্ছিন্ন জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া। প্রবীণ ব্যক্তিদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি একবিংশ শতাব্দীতে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এর মূল কারণ পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ক্রমবর্ধমান এ জনগোষ্ঠীর নানামুখী সমস্যার সঙ্গে তাদের এবং পারিপার্শ্বিক ব্যক্তিদের খাপ খাওয়ানো। বার্ধক্যবিষয়ক ব্যাপক জনসচেতনতা ও ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনগোষ্ঠীর নানামুখী জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে হলে আমাদের জানতে হবে প্রবীণদের সংজ্ঞা, প্রবীণদের সংখ্যাবৃদ্ধির মাত্রা, সাধারণ জ্ঞান, মৌলিক মানবাধিকার এবং তাদের প্রতি কর্তব্য সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান ও ইতিবাচক চিন্তা সম্প্রসারণ।

গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকে সারা বিশ্বে প্রবীণ ব্যক্তিদের সংখ্যা ছিল শতকরা ৮ ভাগ, এ শতাব্দীর শুরুতে তা ১১ ভাগ ছাড়িয়ে গেছে। ২০৫০ সাল নাগাদ শতকরা ২২ ভাগ ছাড়িয়ে যাবে। প্রবীণ বৃদ্ধির হার বাংলাদেশে আরও বেশি। মাত্র দুই দশকে আমাদের দেশে প্রবীণ ব্যক্তির সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে এবং ২০৫০ সাল নাগাদ মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ হবে। জীবনের মানোন্নয়ন, চিকিৎসা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার হ্রাসকরণের জন্যই আমাদের দেশে প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে। এর সঙ্গে বাড়ছে নানাবিধ সমস্যা। অথচ যথাযথ উদ্যোগ নিলে প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে মূল্যবান জনসম্পদে পরিণত করা যাবে সহজেই।

প্রবীণদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, মানসিক বিনোদন ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধানসহ নানামুখী কর্মকা- নিশ্চিত হলে তাদের জীবনযাত্রা সহজ এবং নিরাপদ হবে। তবে তার আগে দরকার প্রবীণদের অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেষ্ট থাকা। এক্ষেত্রে প্রবীণদের জীবন মানোন্নয়নে সরকারকে সর্বাগ্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা হতে হবে বাস্তবসম্মত ও দৃষ্টিগ্রাহ্য। এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার বহু প্রত্যাশিত ‘জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা ২০১৩’ ও ‘বাবা-মায়ের ভরণপোষণ আইন ২০১৩’ নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়াও প্রবীণদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় প্রবীণ ভাতার পরিমাণ ও সম্প্রসারণে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিন্তু এগুলোই শুধু প্রবীণদের সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষায় যথাযথ নয়। সরকারকে জাতীয় প্রবীণ নীতিমালার আলোকে প্রবীণদের মানবাধিকার রক্ষার্থে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

শুধু সরকার নয়, ব্যক্তিপর্যায়েও আমাদের আরও বেশি সচেতন হতে হবে। বার্ধক্যের বিষয়ে নিজের স্বার্থেই সচেতন হওয়া একান্ত জরুরি। পরিবারের প্রবীণ ব্যক্তিদের চাহিদা পূরণে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। সরকার ও জনসাধারণ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী, গবেষক এবং কর্মীরা প্রবীণ ব্যক্তিদের জীবনের মানোন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা চাই, বৃদ্ধাশ্রম কিংবা হাসপাতাল নয়, প্রতিটি প্রবীণ ভালো থাকুক তার নিজ গৃহে। প্রবীণরা সমাজের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদে পরিণত হোক- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

ডা. মনিরুজ্জামান অলিভ, পিটি

প্রতিষ্ঠাতা, অলিভ’স ফিজিওথেরাপি সেন্টার

উত্তরা, ঢাকা

গবেষণা বলছে, শতকরা ৯০ শতাংশ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কোমর ব্যথায় ভোগেন। এটি স্বল্পমেয়াদী ব্যথা থেকে দীর্ঘমেয়াদী বা ক্রনিক হতে পারে। গবেষণা এটিও বলছে যে, সঠিক চিকিৎসা নিলে ৯০ শতাংশ রোগী দুই সপ্তাহ থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়।
 
 
কোমর ব্যথার কারণ
 
– লাম্বার স্পন্ডিলাইসিসঃ আমাদের কোমরের পাঁচটি হাড় আছে। কোমরের হাড়গুলো যদি বয়সের কারণে বা বংশগত কারণে ক্ষয় হয়ে যায়, তখন তাকে লাম্বার স্পনডোলাইসিস বলে।
 
– পিএলআইডিঃ এটিও কোমর ব্যথার প্রধাণতম একটি কারণ। এটি সাধারণত ২৫ থেকে ৪০ বছরের মানুষের ক্ষেত্রে বেশি হয়। অর্থাৎ ওয়ার্কিং এইজ তথা কর্মক্ষম মানুষের মাঝে এটি বেশি হয়। আমাদের হাড়ের মধ্যে ফাঁকা একটি জায়গা থাকে। এটি পূরণ থাকে তালের শাঁসের মতো ডিস্ক বা চাকতি দিয়ে। এ ডিস্ক যদি কোনো কারণে বের হয়ে যায়, তখন স্নায়ুমূলের ওপরে চাপ ফেলে। এর ফলে কোমরে ব্যথা হতে পারে।
 
– আঘাতজনিতঃ বড় কোনো আঘাতের ইতিহাস থাকলে, কোমর ব্যথার পাশাপাশি বুকে ব্যথা হলে, রোগীর আগে কখনও যক্ষ্মা হয়ে থাকলেও বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে।
 
– ক্যান্সার, অস্টিওপোরোসিস, এইডস, দীর্ঘকাল স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবনের ইতিহাস থাকলে কোমর ব্যথা হতে পারে।
 
– প্যাথলজিক্যালঃ ব্যথার পাশাপাশি জ্বর, শরীরের ওজন হ্রাস, অরুচি, অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে এবং ব্যথাটা কোমর ছাড়িয়ে পায়ের দিকে বিশেষ করে এক পায়ের হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ছড়ালে অথবা এক পায়ে তীব্র ব্যথা বা অবশভাব হলে সতর্ক হতে হবে।
 
প্রস্রাব বা পায়খানার সমস্যা, মলদ্বারের আশপাশে বোধহীনতা, মেরুদণ্ডে বক্রতা, পায়ের দুর্বলতা বা পায়ের মাংসপেশির শুষ্কতা ইত্যাদি উপসর্গকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। কোমর ব্যথার সঙ্গে উল্লিখিত যে কোনো উপসর্গ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
 
লক্ষণঃ
 
– প্রথম দিকে এ ব্যথা কম থাকে এবং ক্রমান্বয়ে তা বাড়তে থাকে।
 
– অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকলে এ ব্যথা কিছুটা কমে আসে। কোমরে সামান্য নড়াচড়া হলেই এ ব্যথা বেড়ে যায়।
 
– ব্যথার সঙ্গে পায়ে ব্যথা নামতে বা উঠতে পারে, হাঁটতে গেলে পা খিঁচে আসে বা আটকে যেতে পারে, ব্যথা দুই পায়ে বা যে কোনো এক পায়ে নামতে পারে। কোমরের মাংসপেশি কামড়ানো ও শক্ত ভাব হয়ে যাওয়া।
 
– প্রাত্যহিক কাজে, যেমন- নামাজ পড়া, তোলা পানিতে গোসল করা, হাঁটাহাঁটি করা ইত্যাদিতে কোমরের ব্যথা বেড়ে যায়।
 
ব্যথার সময় আর যা হয়ঃ
 
– প্রথমে কোমরে অল্প ব্যথা থাকলেও ধীরে ধীরে ব্যথা বাড়তে থাকে। অনেক সময় হয়তো রোগী হাঁটতেই পারে না।
 
– ব্যথা কখনও কখনও কোমর থেকে পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। পায়ে ঝিনঝিন ধরে থাকে।
 
– সকালে ঘুম থেকে উঠে পা ফেলতে সমস্যা হতে পারে। কিংবা কোমর নাড়ানো অসম্ভব হয়ে পরে।
 
– পা অবশ ও ভারী হয়ে যেতে পারে। কিংবা পায়ের শক্তি কমে যেতে পারে।
 
– মাংসপেশি মাঝে মধ্যে সংকুচিত হয়ে যায়।
 
রোগ নির্ণয়ঃ
 
– কোমরের কিছু পরীক্ষা রয়েছে। ফরোয়ার্ড বেন্ডিং পরীক্ষা, ব্যাকওয়ার্ড বেন্ডিং পরীক্ষা। এটি একজন গ্রাজুয়েট ফিজিওথেরাপিস্ট এসেসমেন্ট করেন।
 
– নিউরোলজিক্যাল ডিফিসিয়েন্সি আছে কী না, তা নির্ণয় করা হয়।
 
– কোমরের এক্স-রে এবং এমআরআই অনেক ক্ষেত্রে সঠিক রোগ নিরূপণে সাহায্য করে।
 
– রক্তের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা হয়। ভিটামিন ডি এর পরীক্ষা, ইউরিক এসিডের পরিমাণ, শরীরে বাত আছে কি না এসব পরীক্ষা করতে হয়।
 
– ক্রনিক ব্যাক পেইনের ক্ষেত্রে এইচএলএবি-২৭ পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
 
প্রাথমিক ক্ষেত্রে করণীয়ঃ
 
বার ক্ষেত্রেই সবসময় ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
 
* একই জায়গায় বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকা যাবে না।
 
* ঘুমানোর সময় সোজা হয়ে ঘুমাতে হবে। বেশি নড়াচড়া করা যাবে না। ঘুম থেকে ওঠার সময় যে কোনো একদিকে কাত হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে।
 
চিকিৎসা
 
হালকা ব্যথা হলে অবহেলা না করে ওষুধ এবং পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। কোমরে গরম ভাপ দিলে উপকার পেতে পারেন। কোমর ব্যথার বিভিন্ন মলম ব্যবহার করতে পারেন। তবে মালিশ করা যাবে না।অনেকেই কোমর ব্যথা হলে বিভিন্ন ব্যথা নাশক ওষুধ খেয়ে ফেলেন। এটি একেবারে ঠিক নয়। বিভিন্ন কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন।
 
* ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনও এমন ওষুধ তৈরি হয়নি যে ওষুধ খেলে আপনার মাংসপেশি লম্বা হবে, শক্তিশালী হবে এবং আপনার জয়েন্ট মবিলিটি বেড়ে যাবে।
 
ফিজিওথেরাপি বা এক্সারসাইজ যা আপনাকে ওই কষ্টগুলো থেকে মুক্তি দেবে। সুতরাং সম্পূর্ণ চিকিৎসা পেতে হলে আপনাকে সঠিক মোবিলাইজেশন, ডিরেকশনাল এক্সারসাইজ, ম্যানিপুলেশন, স্ট্রেচিং এবং স্থেন্দিনিংয়ের মতো চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
 
লেখকঃ ডা. মনিরুজ্জামান অলিভ
প্রধান, অলিভ’স ফিজিওথেরাপি সেন্টার, উত্তরা
Read More & Learn More About Physiotherapy Treatment

আসুন ইন্টারেস্টিং একটি সমস্যা সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস (Psoriatic Arthritis) সম্পর্কে জানি

আসুন ইন্টারেস্টিং একটি সমস্যা সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস (Psoriatic Arthritis) সম্পর্কে জানি আমাদের কাছে হাঁটু ব্যথার রোগী আসলে আমরা হিস্ট্রি নিই, কন্ট্রাকটাইল, নন কন্ট্রাকটাইল, স্পেশাল টেস্ট করে

Read More »

বিষণ্ণতা, উদ্বেগ ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ফিজিওথেরাপি

বিষণ্ণতা, উদ্বেগ ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে ফিজিওথেরাপি আজ ৮ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস। বিশ্ব ফিজিওথেরাপি সংস্থা- ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন ফর ফিজিক্যাল থেরাপির অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের মতো

Read More »

মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা।

মাথাব্যথা ও মাইগ্রেনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা। আমরা কম-বেশি সবাই Headache বা মাথা ব্যথা সমস্যায় ভুগি। জীবনে কখনো মাথা ব্যথায় ভোগেননি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

Read More »

ভেরিকস ভেইনঃ অপারেশনই কি একমাত্র চিকিৎসা?

ভেরিকস ভেইনঃ অপারেশনই কি একমাত্র চিকিৎসা? ভেরিকস ভেইন নামটা খুব চেনা না হলেও কন্ডিশনটি কিন্তু বেশ চেনা। আমাদের দেশেও এই রোগের প্রকোপ নেহাত কম নয়।

Read More »

প্রস্রাব ধারণে অক্ষমতার কারন ও প্রতিকার

প্রস্রাব ধারণে অক্ষমতার কারন ও প্রতিকার মূত্রথলী বা প্রস্রাবের উপর নিয়ন্ত্রণ কমে যাওয়ার ফলে অনিচ্ছাকৃত প্রস্রাব হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে ইউরিনারি ইনকনটিনেন্স/ প্রস্রাব ধারণে অক্ষমতা বলা

Read More »
back pain

Back Pain Treatment in Uttara

Olive’s Physiotherapy Center is an excellent choice for individuals who suffer from back pain and are looking for a safe, effective, and non-invasive way to manage their condition.

Read More »
manual therapy.

Manual Therapy in Uttara

Manual therapy can be a highly effective treatment for a wide range of musculoskeletal conditions. It is often used in conjunction with other physical therapy techniques, such as exercise therapy and electrotherapy, to provide a comprehensive treatment approach.

Read More »

Hello world!

Welcome to WordPress. This is your first post. Edit or delete it, then start writing!

Read More »

House # 23, Sonargoan Janapath Road, Sector # 12,Uttara

Dhaka- 1230.
(Building of Eye Health Bangladesh)

 olivesphysio@gmail.com

+8801946002600

Read More & Learn More About Physiotherapy Treatment
Book an appointment